নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ চুরি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। রোববার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স. ম. ওয়াহিদুজ্জামান মিলু, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ সেলিম হোসেন, সাবেক সদস্য সচিব শখ মনিরুজ্জামান মনা, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক স. ম. রাকিবুজ্জামান পাপু, স্থানীয় ইমরান হোসেন ও রবিউল সর্দার প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ চুরিসহ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত। সম্প্রতি আউটসোর্সিংয়ের এক কর্মী ওষুধ চুরি করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের হাতে ধরা পড়েন, দীর্ঘদিন টেন্ডার না হওয়ায় হাসপাতালে ওষুধের সংকট দেখা দেয়। তাছাড়া জনপ্রতি দুই লাখ টাকা নিয়ে অযোগ্য ৮ জন আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা সেবার মান নিশ্চিত করতে পারছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান হোসেন অভিযোগ করেন, “স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে গেলে কর্মচারীরা অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে দুর্ব্যবহার করেন। সিজারে আসা অন্যান্য রোগীদের সাথেও এমন হয়।”
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব স. ম. ওয়াহিদুজ্জামান মিলু বলেন, “আমরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। আউটসোর্সিংয়ের অনিয়মিত নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় যোগ্যদের নিয়োগ দিতে হবে।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শোয়াইব বলেন, “আমি যোগদানের আগে এ পদে কেউ ছিলেন না। ফলে বেতন, টেন্ডারসহ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বর্তমানে ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। ওষুধ চুরির বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত স্টাফদের ওষুধ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।” আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই প্রক্রিয়া পরিচালনা করে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এখানে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।”
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুর রশিদ বলেন, “আউটসোর্সিংয়ের নিয়োগে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।”
খুলনা গেজেট/এস এস